ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

স্ত্রীর পরকীয়া শুনে অঝোরে কাঁদলেন স্বামী

নিউজ ডেস্ক ::

কক্সবাজারে নিহত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তা সোলিমান মুলাটার সঙ্গে পরকীয়া ছিল আরেক কর্মকর্তা জাফরিন আফসারির।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী রুবায়েত চৌধুরী রবিনের সামনেই অকপটে বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছেন জাফরিন আফসারি। এ সময় স্ত্রীর মুখে পরকীয়ার রগরগে বর্ণনা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন রবিন।

এরআগে বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে ইথুওপিয়ার নাগরিক সোলিমান মুলাটার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গত ৩০ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

পরে বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোলিমান মুলাটার গার্লফ্রেন্ড জাতিসংঘের নারী সংস্থার কর্মকর্তা জাফরিন আফসারি ও তার স্বামী রুবায়েত চৌধুরী রবিনকে কক্সবাজারের ওশান প্যারাডাইস হোটেল থেকে আটক করে পুলিশ।

জাফরিন আফসারি জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থার পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কক্সবাজারে কর্মরত। আর তার স্বামী রবিন ঢাকায় একটি এনজিওতে কর্মরত।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইথুওপিয়ান নাগরিক সোলিমান মুলাটার সঙ্গে বাংলাদেশি জাফরিন আফসারির পরকীয়া ছিল। নারীদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার কারণে সোলিয়মানকে এক মাস আগে হোটেল ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন কক্সবাজারের সপ্নবিলাশ হোটেল কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ কক্সবাজারের একাধিক হোটেলে সোলিমান ও জাফরিনের রাত্রীযাপনের প্রমাণ পেয়েছে। কক্সবাজার সদর থানায় বসে জাফরিন আফসারি স্বামী রুবায়েত চৌধুরী রবিনের সামনেই সোলিমান মুলাটার সঙ্গে তার পরকীয়া ও অবাধ শারীরিক মেলামেলার অকপট স্বীকারোক্তি দেন। স্ত্রীর মুখে এসব শুনে অঝোরে কাঁদতে থাকেন রবিন।

পুলিশ জানতে পেরেছে, জাফরিন আফসারি ছাড়াও কক্সবাজারে একাধিক নারী এনজিও কর্মীর সঙ্গে নিহত সোলিমান মুলাটার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেসব তথ্য ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘জাফরিন আফসারি অকপটে জাতিসংঘের কর্মকর্তা সোলিমান মুলাটার সঙ্গে তার পরকীয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তারা দু’জন প্রায় সময় কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে রাত্রীযাপন করতেন বলে জানিয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সোলিমান মুলাটা সাগরে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে ৩০ জুলাই থেকে তার নিখোঁজের সঙ্গে জাফরিন জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এজন্য জাফরিন ও তার স্বামী রবিনকে আটক করা হয়েছে।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না এলে সোলিমানের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে না বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।পরিবর্তন

পাঠকের মতামত: